• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১২ই কার্তিক ১৪৩২ রাত ০১:০৯:৪৪ (28-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের আত্মপ্রকাশ; ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে “সিএইচটি সম্প্রীতি জোট”।২৭ অক্টোবর সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নতুন সামাজিক সংগঠনের কমিটি ঘোষণা করা হয়।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক, যিনি সংগঠনের নবগঠিত ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পেয়েছেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএইচটি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসান এবং নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন। স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি আহ্বায়ক জিয়াউল হক।অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিসত্তার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা জানান, এই জোট খুমি, শাক, লুসাই, পাংখোয়া, বম, খিয়াং, ম্রো, গুর্খা, তঞ্চঙ্গ্যা সহ ক্ষুদ্রতর জনগোষ্ঠী এবং ত্রিপুরা, মারমা, চাকমা ও বাঙালি এই ১৪টি প্রধান জাতিসত্তার সকলের সম্মিলিত প্রতিনিধিত্ব, সাংবিধানিক অধিকার ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অনুষ্ঠানে এই সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।এসময় সংগঠনের ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক-কে আহ্বায়ক, ইখতিয়ার ইমন-কে সদস্য সচিব এবং পাইশিখই মার্মা-কে মুখপাত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন শাহীন আলম, তন্ময় চৌধুরী, নিলা মং শাক প্রমুখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সম্প্রীতি রক্ষা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। আমি বিশ্বাস করি, সিএইচটি সম্প্রীতি জোট দেশপ্রেমিক ও বহুজাতিসত্তার যে ঐক্য গড়ে তুলেছে, তা পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক বলেন, “আমরা কোনো বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। আমাদের লক্ষ্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্য, শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া। বিভাজন নয়, মানবতার ভিত্তিতে ভ্রাতৃত্বই হবে আমাদের মূল শক্তি।”অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।