• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১লা পৌষ ১৪৩২ রাত ১২:৪৫:২৪ (16-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

সৌদি যুবরাজের নজর বার্সার দিকে, ১০ বিলিয়ন ইউরোতে কিনতে চান ক্লাব

স্পোর্টস ডেস্ক: ইউরোপের ফুটবলে প্রভাব বাড়াতে নতুন এক বড় পদক্ষেপের কথা ভাবছে সৌদি আরব। দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নজর এবার পড়েছে স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব বার্সেলোনার দিকে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, কাতালান এই জায়ান্ট ক্লাবের মালিকানা বা বড় অংশীদারিত্ব কেনার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সৌদি নেতৃত্ব।প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বিনিয়োগের অঙ্ক প্রায় ১০ বিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। স্পেনের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘এল চিরিঙ্গুইতো’-তে সাংবাদিক ফ্রাঁসোয়া গালার্দো দাবি করেছেন, সৌদি যুবরাজ সরাসরি কিংবা দেশটির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে বার্সেলোনায় বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সংকটে ভুগছে বার্সেলোনা। ক্লাবটির ঋণের পরিমাণ আনুমানিক ২.৫ বিলিয়ন ইউরো। এত বড় অঙ্কের বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হলে তাত্ত্বিকভাবে এই ঋণ পুরোপুরি পরিশোধ করা সম্ভব এবং ক্লাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন আসতে পারে। সে কারণে এই প্রস্তাব কাতালান ক্লাবটির জন্য স্বস্তির খবর হিসেবেই দেখা হচ্ছে।তবে বাস্তবতা হলো, বার্সেলোনাকে পুরোপুরি কেনা সহজ নয়। ক্লাবটি সোসিও বা সদস্যভিত্তিক মালিকানার অধীনে পরিচালিত হয়। এখানে হাজার হাজার সদস্য ভোটের মাধ্যমে ক্লাবের নেতৃত্ব নির্বাচন করেন। আইনগত কাঠামোর কারণে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এককভাবে বার্সেলোনার মালিক হতে পারে না। ফলে সৌদি বিনিয়োগ হলেও তা পুরো ক্লাব কেনার বদলে বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব বা নির্দিষ্ট খাতে বিনিয়োগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে।স্পেনে তাই অনেকেই এই উদ্যোগকে সরাসরি মালিকানা বদলের প্রচেষ্টা হিসেবে নয়, বরং প্রাথমিক পর্যায়ের যাচাই বা সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তবুও ফুটবল ইতিহাসে নজিরবিহীন এই অর্থের অঙ্ক নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন বার্সেলোনা এখনও আর্থিক স্থিতিশীলতা ফিরে পেতে লড়াই করছে।ফুটবলে সৌদি আরবের বিনিয়োগ নতুন নয়। সৌদি প্রো লিগে বিশ্বের অনেক তারকা ফুটবলার ইতোমধ্যেই খেলছেন। ইউরোপের একাধিক ক্লাবেও দেশটির মালিকানা বা অংশীদারিত্ব রয়েছে। বার্সেলোনাকে ঘিরে এই আগ্রহও সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে অর্থনীতি বৈচিত্র্যকরণ এবং ফুটবলকে বৈশ্বিক প্রভাব বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার লক্ষ্য রয়েছে।